
যুক্তরাষ্ট্রের বিপদ যেন পিছুই ছাড়ছে না। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের পর এবার দেশটিতে তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় স্যালি। যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলে দুই মাত্রার শক্তি নিয়ে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় স্যালি। এই ঝড়ের তাণ্ডবে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে প্রায় ৫ লাখের বেশি মানুষ। স্যালি আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০৫ মাইল বা ১৬৯ কিলোমিটার।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বুধবার ক্যাটাগরি ২ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উপকূলে আঘাত হানার পর বাতাসের গতিবেগ কমে যায়। তবে ঝড়টি আলাবামা ও ফ্লোরিডা উপকূল অঞ্চল লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্ট বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে দুটো অঙ্গরাজ্যেই রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। আলবামা উপসাগরীয় উপকূলে ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে, গাছপালা ভেঙেচুরে বিভিন্ন ছাদে গিয়ে পড়েছে।
ফ্লোরিডার পেনসাকোলা সমুদ্র সৈকত এলাকায় বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারগুলো বিস্ফোরিত হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, পেনসাকোলাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পেনসাকোলার অগ্নিনির্বাপক প্রধান গিনি ক্র্যানর সিএনএনকে বলেন, শহরটিতে গত চার মাসের সমপরিমাণ বৃষ্টি মাত্র চার ঘণ্টায় হয়েছে।
এছাড়া অন্তত দুই ফুট (৬০ সেমি) বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। উপসাগরীয় উপকূলে আছড়ে পড়ার পর ঘূর্ণিঝড় স্যালি ঘণ্টায় তিন মাইল বেগে আলাবামা-ফ্লোরিডা সীমান্তের দিকে অগ্রসর হয়েছে। এর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টিপাত মিসিসিপি থেকে ফ্লোরিডা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে এনএইচসি।
ঘূর্ণিঝড় থেকে নিরাপদ থাকতে আগেই উপকূলবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। ওই অঞ্চলের বন্দর, স্কুল, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
Be the first to comment