নির্বাচন কমিশনে এসে জানলেন তিনি মা’রা গেছেন
প্রতিবন্ধী নজরুল ইসলাম। ব্যক্তিগত কাজে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা সেন্টারে যান তিনি। কিন্তু গিয়ে জানতে পারেন তিনি মা’রা গেছেন। আর এজন্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তার কোনো তথ্য নেই। বেঁচে নেই এ কারণে ভোটার তালিকা থেকে নামসহ সব তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে। নজরুল ইসলামের বাড়ি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের শিলিল পাড়ায়। বাবার নাম দিদার শিলিল।
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে মেহেরপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, ভুলবশত এ ঘটনা ঘটতে পারে। এটি সমাধানের জন্য নতুন করে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার হিসেবে তালিকার জন্য প্রক্রিয়া চলছে।
নজরুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন আগে একটি কাজে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা সেন্টারে যাই। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আমার কোনো তথ্য না থাকায় কাজটি করা যায়নি। পরিচয়পত্র দেখানোর পরেও উদ্যোক্তা সেন্টারে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি বলেন, আপনার ওই কার্ডটি ভগিযোগী।
নজরুল বলেন, বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য আমি গাংনী উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করি। সেখানেও জানানো হয় আমার কোনো তথ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে নেই। পরে আবারো স্থানীয় তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যায়ন নিয়ে তালিকাভুক্ত করে জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়ার জন্য গাংনী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে ১০ সেপ্টেম্বর আবেদন করি।
গাংনী উপজেলা নির্বাচন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কবির উদ্দীন বলেন, নজরুল ইসলাম নতুন করে পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।