
এবার দলের সভানেত্রীর সামনে উঠে আসল আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল। বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দের দ্বন্দ্ব নিয়ে দলের কার্যনির্বাহী সভা মুখর হয়ে উঠে আলোচনায়। তবে দলের নেতাদের ঝামেলা মিটিয়ে আরও জনমুখী হয়ে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) গণভবনে আয়োজিত কার্যনির্বাহী সভায় আওয়ামী লীগের মাদারীপুর জেলা শাখার রাজনীতি নিয়ে বিতর্কে জড়ান প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। শেখ হাসিনার সামনেই তারা একে অপরকে দোষারোপ করেছেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বৈঠকে থাকা একাধিক নেতা।
সভায় দেশের ৮টি বিভাগের পরিস্থিতি সম্পর্কে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকেরা শেখ হাসিনার কাছে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এসময় মাদারীপুরের দলাদলির বিষয়টি তুলে ধরেন ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।বৈঠক চলাকালে একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে জড়ান শাহজাহান খান ও বাহাউদ্দিন নাছিম। তখন দুজনকেই থামিয়ে দেন শেখ হাসিনা।
এসময় জেলার মুরুব্বি হিসেবে তাদেরকে শুধু নিজের দিকের লোকজনের ভালো না দেখে সবার ভালো দেখার পরামর্শ দেন। একইসাথে নির্দেশ দেন মিলেমিশে কাজ করার।মির্জা আজম অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগ টাকার বিনিময়ে ঢাকায় বসে কমিটি দেয়। বিএনপি জামায়াত বিচার না করে, খোঁজ খবর না নিয়ে ছাত্রলীগে পদ দেওয়া হচ্ছে।
সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া এই সভা চলে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। দীর্ঘদিন পরে সবাইকে একসাথে পেয়ে আরও অনেকক্ষন আলোচনা করতে চাইছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু ওবায়দুল কাদেরসহ আরও কয়েকজন নেতা সভা শেষ করার তাগিদ দেন। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চাই তোমাদের সঙ্গে থাকতে। তোমরা বাসা বাড়িতে যাবা, পরিবার নিয়ে হাওয়া খাবা। আর আমাকে গণভবনের বন্দী জীবনে রেখে যাবা।