বউ ভাগিয়ে বিয়ে, ছেলেকে নিয়ে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন!
যশোরের চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুর রহমানের (২৭) বিরুদ্ধে বউ ভাগিয়ে নেওয়ার পর হ’ত্যার হু’মকির অভিযোগ করেছেন একই উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলাইমান হোসেন। আজ রবিবার দুপুরে যশোর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় সোলাইমানের সাথে তার শিশুপুত্র আবু বক্কার সিদ্দিক (১১) উপস্থিত ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে সোলাইমান বলেন, চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সহসভাপতি ছেট দিঘড়ী গ্রামের আইজেল হকের ছেলে সাদেকুর রহমান পরীক্ষার ফরম পূরণ ও ফির টাকা নেওয়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে আমার বাড়িতে আসত। এভাবে সে আমার ছেলে আবু বক্কার সিদ্দিকীর মা সালমা খাতুনের সাথে প’রকী’য়ার সম্পর্ক তৈরি করে। এ নিয়ে সংসারে অশা’ন্তি লেগে থাকত।
এমন অবস্থায় ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই আমার শাশুড়ি রাবেয়া খাতুন ও তার দুই ছেলে মুছা ও ইব্রাহিম আমার বাড়ি আসে। তাদের জন্য বাজার থেকে কেনাকাটা করে ফিরে শুনি ছেলেকে ফেলে সালমা খাতুন ও তার পরিবারের সবাই ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুরের সাথে বাড়ি থেকে চলে গেছে। এ সময় তারা আমার নগদ ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার সোনার গয়না নিয়ে যায়।
এ ঘট’নার পর আমি আমি স্ত্রীকে ফেরত আনতে শ্বশুর বাড়ি গেলে আমাকে অ’শ্লীল ভা’ষায় গা’লাগা’ল করে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর আমার স্ত্রী সালমা ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুরকে বিয়ে করে এবং তার সঙ্গে বসবাস শুরু করে। এ ব্যাপারে ২০১৮ সালে সালের ৩ সেপ্টেম্বর আমি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মা’মলা করি।
এরপর আ’সামি সাদেকুর মা’মলার খবর পেয়ে আমাকে খু’ন ক’রার হু’মকি দিতে থাকে। এমন অবস্থায় ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ফ্রিজ কিনতে কোটচাঁদপুর যাওয়ার সময় সাদেকুর তার সহযোগীদের নিয়ে ধারা’লো অ’স্ত্র দিয়ে আমাকে আ’টকায়। এ সময় তারা আমার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় তারা আমাকে মা’রপি’ট করে এক লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘ’টনায় থানায় মা’মলা করতে গেলে আমাকে আদালতে মাম’লা করতে পরামর্শ দেওয়া হয। এ বিষয়ে আমি ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আদালতে মা’মলা করি। এরপর থেকে তারা সিলেটে থাকত। বর্তমানে সাদেকুর আবার চৌগাছায় এসে থাকছে এবং এবং বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হ’ত্যাসহ হাত-পা ভে’ঙে দেওয়ার হু’মকি দিচ্ছে। পাশাপাশি উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছে।
তিনি আরো বলেন, নেতার স্ত্রী ভাগিয়ে বিয়ে করা ব্যক্তি কিভাবে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকতে পারে? এ ছাড়াও সে আমার বিরুদ্ধে নাটক সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে মা’মলা করে হয়’রানি করতে পারে। তিনি এসবের প্র’তিকার পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অভিযুক্ত সাদেকুর বলেন, ২০১৬ সালের প্রথম দিকে পারিবারিক ক’লহের কারণে তাদের তা’লাক হয়ে যায়। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে আমি সালমাকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। আমরা আড়াই বছর সংসার করছি। সে যেসব অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা। আমি তার বউকে বিয়ে করিনি। তালাকপ্রাপ্ত একজনকে আমি বিয়ে করেছি।